কেন #দেবদেবীরবাহন বিভিন্ন প্রাণী || হিন্দু ধর্ম কি বলছে? Podcast-8


আমায়ের পুজা পদ্ধতি ও অনুশাসয়ন প্রকৃতি ও জীয়বর বযবহার সববাতধক যা আমায়ের পূববপুরুষ ঋতষয়ের ববজ্ঞাতনক জ্ঞায়নর বতহিঃপ্রকাশ বলা যাে। আধুতনক তবজ্ঞায়নর আতবষ্কার এক তেয়ন হেতন তবজ্ঞায়নর আতবষ্কার ধারাবাতহকিার ফল। কেন #দেবদেবীরবাহন বিভিন্ন প্রাণী || হিন্দু ধর্ম কি বলছে? Podcast-8


প্রতিটি দেবতার এক একটি বাহন রয়েছে। মুলত আমাদের পুরাণ গুলিতেই এর ব্যাখ্যা রয়েছে। এখন কেন দেব দেবীরা এই সব বাহনকে ধারণ করেছেন?

 

নমস্কার আমাদের আজকের পডকাস্টে তুলে  ধরবো, কেন দেবদেবীর বাহন বিভিন্ন প্রাণী?? আসুন জেনে নেওয়া যাক।

 

আমাদের পুজা পদ্ধতি অনুশাসনে প্রকৃতি জীবের ব্যবহার সর্বাধিক যা আমাদের পূর্বপুরুষ ঋষিদের বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের বহিঃপ্রকাশ বলা যায়। আধুনিক বিজ্ঞানের আবিষ্কার এক দিনে হয়নি বিজ্ঞানের আবিষ্কার ধারাবাহিকতার ফল। পৃথিবীর প্রথম মানুষ প্রথম বিজ্ঞানী ছিলেন। তার জ্ঞান ২য় জনে পেয়েছেন, এই ভাবে আজকের আমি আপনি।

আমাদের প্রতিটি দেবতার এক একটি বাহন রয়েছে। মুলত আমাদের পুরাণ গুলিতেই এর ব্যাখ্যা রয়েছে। এখন কেন দেব দেবীরা এই সব বাহনকে ধারণ করেছেন? এর উত্তরে বলা যায় আধুনিক ইকোসিস্টেমের যে ধারণা সেই ধারণা আধুনিক হলেও - অনেক আগে থেকেই এর চর্চা সনাতন ধর্মে ছিলো।

দেব দেবীরা বাহন ধারণ করে বুঝিয়েছেন যে, প্রতিটা প্রাণীর অস্তিত্ব বর্তমান না থাকলে সৃষ্টির নিয়ম লঙ্ঘিত হবে। মাংস ভোজী প্রাণীদের মেরে ফেললে তৃণ ভোজী প্রাণীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং তৃণ সংকটে বনাঞ্চল ধ্বংস হয়ে যাবে। এই কারনেই বাঘ সিংহ ধারণ করেছেন দেবীরা। দেবীর বাহন বলে সিংহ বাঘকে হত্যা করা যাবে না। সিংহ বাঘকে শক্তির প্রতিক হিসাবে দেখা হয়। আবার দেখুন ইঁদুর, গরু, প্যাঁচা, ঈগল, সাপ, ময়ূর, হাঁস, হাতি - সহ বিভিন্ন প্রাণীকে বাহন হিসাবে ধারণ অরেছেন বিভিন্ন দেবতারা। আবার শ্রী রামের কথা মনে করলেই বানর হনুমানের কথা মনে পরে। প্রজাপতির বিশাল স্থান আছে সনাতন দর্শনে।

শুধু ইঁদুরের কথাই যদি বলি তবে বলতে হয়, মানবের কোন উপকারে এই প্রাণীটি তেমন কোন ভূমিকা রাখে না। তাহলে কেন ইঁদুরকে আমরা রক্ষা করবো? রক্ষা করবো এই কারনেই যে, ইঁদুরকে খেয়ে বেঁচে থাকে এমন প্রাণী মানব প্রকৃতির উপকারে আসে। তাই সব প্রাণীর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে এবং রয়েছে বলেই এই প্রাণী গুলিকে দেবতাদের বাহন করে রক্ষা করার জন্য বলা হচ্ছে।

ইকোসিস্টেমে এক প্রাণী অন্য প্রাণীর উপর নির্ভরশীল। খাদ্য চেইনের একটি বিচ্ছিন্ন হলে অনেক গুলি প্রাণী অস্তিত্ব হুমকিতে পরে। যেমন ধরুন গরুকে রক্ষা করতে যে টিকা দেওয়া হয় সেটা শকুনের জন্য বিষ। টিকা গ্রহণ কারি গরু মারাগেলে মৃত গরুকে শকুন খেলে শকুন মারা যায়। গরু মারাগেলে সেই গরুকে এখন নদীতে বা খালে ভাসিয়ে দেওয়া হয়, এতে জল দূষিত হয়। কিন্তু শকুন মৃত প্রাণীগুলিকে খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করে প্রকৃতি দূষণ থেকে রক্ষা করতো।

সুতরাং বলার অপেক্ষাই রাখেনা যে, আমাদের পৌরাণিক নিয়ম কানুন গুলি কালজয়ী বৈজ্ঞানিক।

ঈশ্বর সকলের মঙ্গল করুন

গর্বের সাথে বলুন আমরা সনাতন।

 

আমরা আপনাদের এই সমস্ত তথ্য উপস্থাপন করতে পেরে আমরা আনন্দিত। সমস্ত তথ্যে ইন্টারনেট থেকে সংগৃহিত হওয়ায় ভুল ত্রুটি মার্জনীয়। আপনারা যদি কোন মনীষীর জীবনি সম্পর্কে জানতে চান তবে লিখতে পারেন কমেন্ট বক্সে। ধন্যবাদ।  


 

Post a Comment

0 Comments