ভগবান শিবের জন্ম রহস্য

 ভগবান শিবের জন্ম রহস্য কি?

দেবাদিদেব মহাদেব এর নামে শুরু করছি। হর হর মহাদেব। যিনি শুরুতে ছিলেন, বর্তমানে আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন। আদি নেই, অন্ত নেই তিনিই ধ্বংসের দেবতা ভগবান শিব। 

নমস্কার বন্ধুরা আমাদের আজকের ভিডিওতে তুলে ধরবো ভগবান শিবের জন্ম রহস্য, শিবের পিতা মাতা সম্পর্কে? মহাদেব সৃষ্টির মূল কর্তা। হিন্দু ধর্মের অনেক তত্ত্ব ও পৌরাণিক উপাখ্যানের মধ্যে সত্য এবং সুন্দর তথ্য পেতে আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করার অনুরোধ রইলো। 

 


 



 

ভগবান শিবের জন্ম রহস্য, 

puran katha,

ভগবান শিবের জন্ম,

ভগবান শিবের জন্ম কিভাবে হয়েছিল, 

শিবের পিতা, শিবের জন্মরহস্য, 

শিবের জন্ম, 

শিব কি, 

শিব কে,

bhagwan shiv ka janam kaise hua, 

भगवान शिव के माता पिता कौन हैं, 

भगवान शिव का जन्म, 

শিবের জন্ম কিভাবে হয়েছে ?, 

ভগবান শিবের পিতা, 

ভগবান শিব, 

শিব লিঙ্গ,

birth story of lord shiva, 

lord shiva birth story, 

শিবের জন্ম কিভাবে হয়েছে ?

 

পৃথিবী সৃষ্টির বৈজ্ঞানিক ব্যখ্যা থেকে জানা যায় পৃথিবী সৃষ্টির পূর্বে সমস্ত কিছু একটি পিণ্ড থেকে আবির্ভূত হয়েছে। স্টিফেন হকিং এর বিগ ব্যাং থিওরি থেকে পাওয়া তথ্য থেকে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সব পদার্থ খুব ঘন একটি বিন্দুতে একত্রিত ছিল। বিগ ব্যাং বিস্ফোরণের ফলে তা ক্রমাগত প্রসারিত হয় বর্তমানের মহাবিশ্বে রূপ নিয়েছে। এই পিণ্ড বা বিন্দুতে সঞ্চিত ছিল প্রচুর এনার্জি। আর এই এনার্জি বা শক্তিই হলেন মহাদেব। এই পিণ্ডের কোন বিনাশ নেই। ভগবান শিবেরও কোন বিনাশ নেই। তিনি অবিনস্বর। শিব পুরাণের তথ্য অনুযায়ী ১১ জন রুদ্র এখনও বিরাজমান। সৃষ্টির সমস্ত জিনিসের মধ্য জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত একটি শক্তি থাকে। যিনি সমস্ত কিছুর অধিকর্তা তাহলে তার সৃষ্টি কিভাবে? ভগবান শিবের জন্মের পেছনে কি ব্যাখ্যা রয়েছে?
একবার এক ঋষি ভগবান শিবকে প্রশ্ন করেছিলেন হে প্রভু আপনার পিতার নাম কি? আপনার  জন্ম রহস্যই বা কি? তখন মহাদেব উত্তর দিয়েছিলেন যিনি সমস্ত সংসারের প্রতিপালক, তিনি ব্রম্মা, তিনিই আমার পিতা। তখন সেই ঋষি আবার প্রশ্ন করলেন তাহলে মহাদেব আপনার পিতামহের নাম কি? মহাদেব উত্তর দিলেন যিনি সমস্ত সৃষ্টির পালন কর্তা বিষ্ণু হলেন আমার পিতামহ। ঋষির কৌতূহল বাড়তে লাগলো, তিনি মহাদবকে পুনারায় প্রশ্ন করলেন তাহলে আপনার প্র পিতামহ কে? তখন মহাদেব উত্তর দিলেন হে আমার প্র পিতামহ আর কেহ নয় আমি স্বয়ং। এই একটি উত্তর থেকে এটাই বোঝা যায় যে দেবাদিদেব মহাদেবের কোন জন্ম নেই। তার সৃষ্টি একটি মহাচক্রের মতো। যে চক্রের আবর্ত চলছেই। তা ত্রিদেবের মাধ্যমে পিতা পুত্র আর প্র পিতামহ পর্যায় হয়ে চলে যাচ্ছে লক্ষ কোটি বছর।

শিব পুরাণ থেকে পাওয়া পর্বতরাজ হিমালয়ের কন্যা পার্বতীর সঙ্গে যখন মহাদেবের বিবাহ হয় তখন একটি বিশেষ বিধি সম্পূর্ণ করার জন্য পাত্রের পিতার উপস্থিতি আবশ্যক ছিল। তখন সমস্ত দেবতারা এবং মুনি ঋষিরা খুবই দুশিন্তায় পড়েন। এখানের কেউই জানেন না আসলে মহাদেবের পিতা মাতা কে। তখন মহাদেব নিজেই স্বয়ং তার বাবা মা হিসাবে মহা ঋষি অত্রি ও তার স্ত্রী অনুসুয়াকে দায়িত্ব পালন করতে বললেন। অত্রি মুনি এই দায়িত্ব পেয়ে অনেক খুশি হলেন।

শিব পুরাণের আরেকটি কাহিনি থেকে জানা যায় যে একবার ভগবান বিষ্ণু ও ব্রম্মার মধ্য কে শ্রেস্ট তা নিয়ে বিতর্ক বাধে। এবং তা এক সময় সংঘর্ষে রুপ নেয়। তাদের এই যুদ্ধের মাঝখানে একটি বিশাল পাথর খণ্ডের আবির্ভাব হয়। যে পাথরের কোন আদি বা অন্ত ছিল না। আর এই পাথর আর কেউ নয় স্বয়ং মহাদেরর প্রকাশ হিসাবে সমাদৃত। ভগবান দেবাদিদেব মহাদেবের এভাবেই প্রকাশিত হন। সনাতন বিশ্বাস আনুসারে যে মহাদেবের নেই জন্ম, নেই মৃত্যু সমস্তই যেন বর্তমান। বিভিন্ন দৈবিক লীলার মাধ্যমে মহাদেব আমাদের মাঝে অবস্থান করছেন।

আমাদের ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক,কমেণ্ট,সাবক্রাইব করার অনুরোধ রইলো। সত্যম শিবম সুন্দরম।

 

Post a Comment

0 Comments