মনসা পূজার ভিডিও


মনসা হলেন একজন লৌকিক হিন্দু দেবী। তিনি সর্পদেবী। প্রধানত বাংলা অঞ্চল এবং উত্তর ও উত্তরপূর্ব ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে তার পূজা প্রচলিত আছে। সর্পদংশনের হাত থেকে রক্ষা পেতে, সর্পদংশনের প্রতিকার পেতে, প্রজনন ও ঐশ্বর্যলাভের উদ্দেশ্যে তার পূজা করা হয়। মনসা ঘট স্থাপন করে পুজো করা হয়। মনসা নাগ-রাজ (সর্পরাজ) বাসুকীর ভগিনী এবং ঋষি জরৎকারুর (জগৎকারু) স্ত্রী। তার অপর নামগুলি হল বিষহরি বা বিষহরা (বিষ ধ্বংসকারিণী), নিত্যা (চিরন্তনী) ও পদ্মাবতী। 

পুরাণ ও কিংবদন্তি অনুসারে, মনসার পিতা শিব ও স্বামী জরৎকারু মনসাকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। মনসার সৎ-মা চণ্ডী (শিবের স্ত্রী পার্বতী) তাকে ঘৃণা করতেন। এই কারণে মনসা অত্যন্ত উগ্র স্বভাব ও অসুখী এক দেবী। কোনো কোনো ধর্মগ্রন্থে আছে, শিব নয়, ঋষি কাশ্যপ হলেন মনসার পিতা। মনসাকে ভক্তবৎসল বলে বর্ণনা করা হলেও, যিনি তার পূজা করতে অস্বীকার করেন, তার প্রতি তিনি নির্দয়।[৩] জন্ম-সংক্রান্ত কারণে মনসার পূর্ণ দেবীত্ব প্রথমে অস্বীকার করা হয়েছিল। তাই মনসার উদ্দেশ্য ছিল দেবী হিসেবে নিজের কর্তৃত্ব স্থাপন করা এবং একটি একনিষ্ঠ মানব ভক্তমণ্ডলী গড়ে তোলা। 


মনসা সাপ ও বিষের দেবী

উৎস: সর্পদেবী হিসেবে মনসার প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় হিন্দু ধর্মগ্রন্থ অথর্ববেদে। পুরাণে তাকে ঋষি কাশ্যপ ও নাগ-জননী কদ্রুর কন্যা বলা হয়েছে। খ্রিস্টীয় ১৪শ শতাব্দী নাগাদ মনসা প্রজনন ও বিবাহের দেবী হিসেবে চিহ্নিত হন এবং শিবের আত্মীয় হিসেবে শৈব দেবমণ্ডলীর অন্তর্ভুক্ত হন। কিংবদন্তি অনুসারে, শিব বিষ পান করার পর মনসা তাকে রক্ষা করেন এবং ‘বিষহরা’ নামে পরিচিত হন। মনসার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায় এবং তা দক্ষিণ ভারত পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে মনসা-কেন্দ্রিক ধর্মীয় গোষ্ঠীটি শৈবধর্মের প্রতিদ্বন্দ্বীতে পরিণত হয়। এর ফলে শিবের কন্যা রূপে মনসার জন্মের উপাখ্যানটি রচিত হয় এবং শেষ পর্যন্ত শৈবধর্মও এই আদিবাসী দেবীকে মূলধারার হিন্দুধর্মের ব্রাহ্মণ্য ধারার অন্তর্ভুক্ত করে ।

মূর্তিতত্ত্ব: মনসার মূর্তিতে তাকে সর্প-পরিবেষ্টিত নারী রূপে দেখা যায়। তিনি একটি পদ্মের উপর বসে থাকেন বা একটি সাপের উপর দাঁড়িয়ে থাকেন। সাতটি গোখরো সাপের ফনা তার মাথার উপর ছাউনির আকারে বিরাজ করে। কোনো কোনো মূর্তিতে তার কোলে একটি শিশুকে দেখা যায়। এই শিশুটি সম্ভবত তার পুত্র আস্তিক। তাকে ‘একচক্ষু-বিশিষ্ট দেবী’ বলা হয়। উত্তরপূর্ব ভারতের হাজং উপজাতির মানুষেরা তাকে এই কারণে ‘কাণি দেউও’ (অন্ধ দেবী) বলেন। কিংবদন্তি অনুসারে, মনসার সৎ-মা চণ্ডী তার একটি চোখ পুড়িয়ে দিয়েছিলেন।



মনসা ঘট: মানব সমজের গতি অর্থাৎ প্রবাহমানতার মাধ্যম হলো সৃষ্টি। এই মনসা ঘট হলো গর্ভবতী নারীর প্রতীক। যেখান থেকে প্রাণ সঞ্চার হয়ে মানব জীবন ক্রম বিবর্তনের মাধ্যমে এগিয়ে চলছে। মনসা ঘট যেমন গর্ভবতী নারীর প্রতীক তেমনই ফসলের উর্বরতার প্রতীক। যাকে প্রজনন শক্তির প্রতীক হিসাবে কল্পনা করা হয়েছে।



কিংবদন্তি মহাভারত: মহাভারতে মনসার বিবাহের উপাখ্যানটি রয়েছে। জরৎকারু নামে এক ঋষি কঠোর তপস্যা করছিলেন। তিনি স্থির করেছিলেন যে, বিবাহ করবেন না। একবার তিনি কয়েকজনকে একটি গাছ থেকে হেঁটমুণ্ড উর্ধ্বপদ অবস্থায় ঝুলতে দেখলেন। তারা ছিলেন জরৎকারুরই পূর্বপুরুষ। তাদের সন্তানসন্ততিগণ তাদের পারলৌকিক ক্রিয়াদি না করার কারণে তাদের ওই অবস্থা হয়েছিল। তাই তারা জরৎকারুকে বিবাহ করে একটি পুত্রসন্তান উৎপাদনের পরামর্শ দিলেন, যাতে সেই পুত্র তাদের পারলৌকিক ক্রিয়াদি সম্পন্ন করে তাদের মুক্তি দিতে পারেন। বাসুকী তার ভগিনী মনসার সঙ্গে জরৎকারুর বিবাহ দিলেন। মনসার একটি পুত্রসন্তান হল। তার নাম ছিল আস্তিক। তিনি তার পূর্বপুরুষদের মুক্ত করলেন। এছাড়া রাজা জনমেজয় যখন সর্পকুল বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে যজ্ঞ করছিলেন, তখন আস্তিক নাগ বংশকে রক্ষাও করেছিলেন।

পুরাণ: পুরাণেই প্রথম মনসার জন্ম-সংক্রান্ত উপাখ্যানটি পাওয়া যায় । পুরাণ মতে , মনসা ঋষি কশ্যপের সন্তান তথা কাশ্যপ গোত্রজ । উল্লেখ্য , মঙ্গলকাব্যে শিবকে মনসার পিতা বলা হলেও , পুরাণে সেই তথ্যের সমর্থন পাওয়া যায় না । একবার সাপ ও সরীসৃপরা পৃথিবীতে উৎপাত শুরু করলে , ঋষি কশ্যপ নিজের মন থেকে মনসা দেবীর জন্ম দেন । মন থেকে জন্ম বলে তার নাম হয় ‘মনসা’ । সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মা তাকে সর্প ও সরীসৃপদের দেবী করে দেন । মনসা তার মন্ত্রবলে পৃথিবীতে নিজের কর্তৃত্ব বিস্তার করেন । এরপর মনসা শিবকে প্রসন্ন করেন । শিব তাকে বলেন নারায়ণ প্রসন্ন করতে । মনসার প্রতি প্রসন্ন হয়ে নারায়ণ তাকে সিদ্ধি নামক দৈবী ক্ষমতা প্রদান করেন । এর ফলে দেবী হিসেবে মনসার কর্তৃত্ব সুবিদিত হয় ।

কশ্যপ ঋষি জরৎকারুর সঙ্গে মনসার বিয়ে দেন । জরৎকারু এই শর্তে মনসাকে বিবাহ করতে রাজি হয়েছিলেন যে , যদি মনসা তার কথার অবাধ্য হন , তবে তিনি মনসাকে পরিত্যাগ করবেন । একবার মনসা জরৎকারুর নিদ্রাভঙ্গ করতে দেরি করেছিলেন । এতে সেদিন জরৎকারুর পূজা করা হয়ে ওঠেনি । এই ঘটনায় দুঃখিত হয়ে জরৎকারু মনসাকে ত্যাগ করেন । পরে দেবতাদের অনুরোধে তিনি মনসার কাছে ফিরে আসেন এবং আস্তিক নামে এক পুত্রের জন্ম দেন ।


মঙ্গলকাব্য: খ্রিস্টীয় ১৩শ থেকে ১৮শ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে ভারতীয় উপমহাদেশের বাংলা অঞ্চলে মনসা প্রমুখ দেবদেবীদের নিয়ে মঙ্গলকাব্য নামক এক শ্রেণির ভক্তিমূলক লৌকিক গাথাকাব্য রচিত হয়েছিল। এর মধ্যে বিজয়গুপ্তের মনসামঙ্গল কাব্য ও বিপ্রদাস পিপলাইয়ের মনসাবিজয় (১৪৯৫) কাব্যে দেবী মনসার উৎপত্তি ও কিংবদন্তিগুলি বর্ণিত হয়েছে।

মনসাবিজয় কাব্যে আছে, বাসুকীর মাতা একটি বালিকার মূর্তি নির্মাণ করেছিলেন। সেই মূর্তিতে শিবের বীর্য নিক্ষিপ্ত হলে তা থেকে মনসার জন্ম হয়। বাসুকী মনসাকে নিজ ভগিনী বলে স্বীকার করে নেন। রাজা পৃথু যখন গাভীরূপী পৃথিবীকে দোহন করছিলেন, তখন তা থেকে বিষের উৎপত্তি হয়। বাসুকী মনসাকে সেই বিষের কর্তৃত্ব প্রদান করেন। শিব মনসাকে দেখে আকৃষ্ট হন। কিন্তু মনসা তাকে নিজ পিতৃপরিচয় দান করলে, শিব মনসাকে গৃহে নিয়ে আসেন। শিবের স্ত্রী চণ্ডী মনে করেন, মনসা শিবের অপর স্ত্রী বা তার জারজ সন্তান। তিনি মনসাকে অপমান করে তার একটি চোখ দগ্ধ করেন। মনসা একচক্ষু-বিশিষ্ট দেবীতে পরিণত হন। পরে সমুদ্রমন্থনের সময় হলাহল বিষের প্রভাবে শিব যখন মৃতপ্রায় হন, তখন মনসা তার প্রাণরক্ষা করেন। একদিন চণ্ডী মনসাকে লাথি মারেন। মনসা তখন বিষদৃষ্টি দিয়ে চণ্ডীকে অজ্ঞান করে দেন। শেষে চণ্ডী ও মনসার বিবাদে বীতশ্রদ্ধ হয়ে শিব মনসাকে একটি গাছের নিচে পরিত্যাগ করেন। তবে তিনি মনসার চোখের জল থেকে নেতো বা নেতা নামে মনসার এক সঙ্গিনীকে সৃষ্টি করেন।

পরে ঋষি জরৎকারু মনসাকে বিবাহ করেন। কিন্তু চণ্ডী মনসার ফুলশয্যার রাত্রিটি মাটি করে দেন। তিনি মনসাকে সর্পালঙ্কার পরিধান করতে বলেছিলেন। তারপর তিনি ফুলশয্যার ঘরে একটি ব্যাঙ ছেড়ে দেন। ফলে সাপগুলি ঘরময় ছুটে বেড়াতে শুরু করে। ভয় পেয়ে জরৎকারু ঘর ছেড়ে পালিয়ে যান। কয়েক দিন পর অবশ্য তিনি ফিরে আসেন। এরপর তাদের পুত্র আস্তিকের জন্ম হয়।


পটচিত্রে মনসামঙ্গল: নেতোর পরামর্শে মনসা মর্ত্যে নেমে আসেন মানব ভক্ত সংগ্রহের উদ্দেশ্যে। প্রথম দিকে মানুষ তাকে উপহাস করত। কিন্তু যারা মনসার ক্ষমতা অস্বীকার করল, তাদের জীবন দুর্বিসহ করে তুলে মনসা তাদের বাধ্য করলেন তার পূজা করতে। মুসলমান শাসক হাসানের মতো বিভিন্ন জাতির মানুষকে মনসা তার ভক্ত করে তুললেন। কিন্তু চাঁদ সদাগর তার পূজা করলেন না। মনসা লক্ষ্মী ও সরস্বতীর মতো একজন দেবী হতে চাইছিলেন। তাতে সফল হওয়ার জন্য চাঁদ সদাগরের হাতে পূজাগ্রহণ তার কাছে বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু চাঁদ সঙ্কল্প করেছিলেন, তিনি মনসার পূজা করবেন না। মনসা চাঁদকে ভয় দেখানোর জন্য একে একে চাঁদের ছয় পুত্রকে হত্যা করলেন। শেষে মনসা ইন্দ্রের রাজসভার দুই নর্তক-নর্তকীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলেন। এঁদের নাম ছিল অনিরুদ্ধ ও ঊষা। অনিরুদ্ধ চাঁদ ও তার স্ত্রী সনকার সপ্তম পুত্র রূপে জন্মগ্রহণ করলেন। তার নাম হল লখিন্দর। ঊষা বেহুলা নামে জন্মগ্রহণ করলেন। লখিন্দর ও বেহুলার বিবাহ হল। মনসা লখিন্দরকে হত্যা করলেন। কিন্তু বেহুলা স্বামীর মৃতদেহ নিয়ে নদীতে ভেসে চললেন। শেষে তিনি চাঁদের সাত পুত্রের প্রাণ ও হারানো সম্পদ পুনরুদ্ধার করার উপায় জেনে ফিরে এলেন। চাঁদ মনসার দিকে না তাকিয়েই বাঁ হাতে তার দিকে ফুল ছুঁড়ে দিলেন। মনসা এতেই খুশি হলেন। তিনি চাঁদের পুত্রদের জীবন ফিরিয়ে দিলেন এবং তার হারানো সম্পদও ফিরিয়ে দিলেন। মঙ্গলকাব্যে রয়েছে, এরপর মনসার জনপ্রিয়তাও বৃদ্ধি পেল।

মনসামঙ্গল কাব্য গ্রন্থে রয়েছে, পূর্বজন্মে মনসা চাঁদকে বিনা কারণে অভিশাপ দিয়েছিলেন। তাই চাঁদও মনসাকে অভিশাপ দিয়েছিলেন যে, তিনি মনসার পূজা না করলে, মনসাপূজা মর্ত্যে জনপ্রিয়তা পাবে না। এই কারণেই, ভক্তদের আকর্ষণ করতে মনসার অসুবিধা হচ্ছিল।

আনন্দ কে. কুমারস্বামী ও ভগিনী নিবেদিতা লিখেছেন, “[চাঁদ সদাগর] ও মনসা দেবীর কিংবদন্তিটি নিশ্চয়ই এশীয় সমাজের মাইকিনিয়ান পর্যায়ের সমসাময়িক। এই কিংবদন্তিতে শৈবধর্ম ও বাংলার নারী লোকিক দেবীদের সংঘাতটির প্রতিফলন দেখা যা। এরপর মনসা বা পদ্মা ‘শক্তি’র একটি রূপ হিসেবে স্বীকৃত হয় এবং শৈবরা তার পূজা স্বীকার করে নেন। তিনি ঈশ্বরের মাতৃকাশক্তির এমন একটি ধারা, যাঁকে অনেক ভক্ত দূরবর্তী ও নির্গুণ শিব ধারণার থেকে নিকটতর ও প্রিয়তর মনে করেন।
পূজা: সাধারণত মনসার মূর্তি পূজা হয় না। সীজ বৃক্ষের শাখায়, ঘটে বা সর্প-অঙ্কিত ঝাঁপিতে মনসার পূজা হয়।তবে কোথাও কোথাও মনসার মূর্তিও পূজিত হয়। প্রধানত সর্পদংশনের হাত থেকে রক্ষা পেতে বা সর্পদংশনের প্রতিকার পেতে মনসার পূজা করা হয়।

বাংলা অঞ্চলেই মনসার পূজা সর্বাধিক জনপ্রিয়। এই অঞ্চলে অনেক মন্দিরেও বিধিপূর্বক মনসার পূজা হয়। বর্ষাকালে যখন সাপের উপদ্রব বৃদ্ধি পায়, তখন মনসার পূজা মহাসমারোহে হয়ে থাকে। নিম্নবর্ণীয় হিন্দুদের কাছে মনসা একজন গুরুত্বপূর্ণ প্রজনন দেবতা। তাঁরা বিবাহের সময় ও সন্তানকামনায় মনসার পূজা করেন। বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে মনসার সঙ্গে নেতোর (যিনি নেতা, নেতিধোপানি, নেতলসুন্দরী ইত্যাদি নামেও পরিচিত) পূজাও করা হয়।

পুজো উপলক্ষে হয় পালা গান ‘সয়লা’। এই পালার বিষয় হল— পদ্মপুরাণ বা মনসা মঙ্গল। সারা রাত ধরে গায়ক দোয়ারপি-সহ পালা আকারে ‘সয়লা’ গান গায়।

উত্তরবঙ্গ অঞ্চলে রাজবংশী জাতির কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ দেবদেবীদের অন্যতম হলেন মনসা। প্রায় প্রত্যেক কৃষক গৃহেই মনসার ‘থান’ বা বেদী দেখা যায়। পূর্ববঙ্গের (অধুনা বাংলাদেশ) নিম্নবর্ণীয় হিন্দুদের মধ্যেও মনসাপূজা বিশেষ জনপ্রিয়।

বাংলার বণিক সম্প্রদায়ের মধ্যেও মনসাপূজা বিশেষ প্রচলিত। এর কারণ মনসামঙ্গল কাব্যের চাঁদ সদাগর, যিনি প্রথম মনসার পূজা করেছিলেন, তিনি ছিলেন একজন বণিক। এই কাব্যের নায়িকা বেহুলাও সাহা নামক এক শক্তিশালী বণিক সম্প্রদায়ের গৃহে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

ভারতের অসম রাজ্যেও মনসাপূজা বিশেষ জনপ্রিয়। এই রাজ্যে ওজা-পালি নামে একধরনের সংগীতবহুল যাত্রাপালা সম্পূর্ণত মনসার কিংবদন্তিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে।

নাগপঞ্চমী তিথিতে মনসার বিধিপূর্বক পূজা প্রচলিত। এই উৎসবটি হল একটি সর্পকেন্দ্রিক উৎসব। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে শ্রাবণ (জুলাই-অগস্ট) মাসে এই উৎসব পালিত হয়। বাঙালি মেয়েরা এই দিন উপবাস করে ব্রত পালন করেন এবং সাপের গর্তে দুধ ঢালেন।
                                                                                                                               From: Wikipedia.

Post a Comment

0 Comments